অংশগ্রহণমূলক কাজ ৩

নবম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা - বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্ব | NCTB BOOK

বোধিসত্ত্ব কত প্রকার ও কী কী? এর মূল বিষয় নিজ ভাষায় লিখে ফেলি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

** এই পৃষ্ঠায় জায়গা না হলে একটি আলাদা কাগজে লিখে কাগজটি বইয়ের পৃষ্ঠার এক পাশে আঠা দিয়ে যুক্ত করতে পারি/খাতায় লিখতে পারি।

বোধিসত্ত্বের গুণাবলি: বোধিসত্ত্বের প্রথম গুণ দশ পারমীর পূর্ণতাসাধনে প্রতজ্ঞাবদ্ধ থাকা। এটিকে প্রকারান্তরে বোধিসত্ত্বগুণও বলা হয়। বোধিসত্ত্বগুণ হঠাৎ সৃষ্টি হয় না, দশ পারমী পূরণের ক্রমধারায় বোধিসত্ত্বের জীবনাচরণে অনেক ইতবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়, যার ফলে তিনি হয়ে ওঠেন অনন্য ও অসাধারণ গুণের অধিকারী। এই অসাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই হলো বোধিসত্ত্বের গুণ। এ গুণের প্রভাবে বোধিসত্ত্ব জন্মজন্মান্তরের সাধনায় নির্দিষ্ট পারমীসমূহ অর্জন করেন।

সাধারণভাবে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে বোধিসত্ত্বের চেতনা থাকলেও সকলেই বোধিসত্ত্বগুণ অর্জন করতে পারেন না। যিনি বুদ্ধত্বলাভের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে পারমী পূরণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেন তিনিই প্রকৃত বোধিসত্ত্ব।

নিচে বোধিসত্ত্বের উল্লেখযোগ্য গুণসমূহ দেওয়া হলো: 

১. সর্ব বিষয়ের অনিত্যতার বোধ বোধিসত্ত্বের প্রধান গুণ।

২. সর্ব সত্তা বা সকল প্রাণীর কল্যাণ কামনা। 

৩. নিজের কর্মকেই জন্ম-জন্মান্তরের সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ। 

8. বুদ্ধত্ব লাভই বোধিসত্ত্বের একমাত্র লক্ষ্য। নাম, যশ ও খ্যাতিতে তাঁদের উৎসাহ থাকে না। 

৫. বোধিসত্ত্বগণ কিছুতেই সত্যসাধনা থেকে বিচ্যুত হন না। 

৬. বোধিসত্ত্বগণ সর্বদা সত্য ন্যায় ও ত্যাগের মহিমায় শীল, সমাধি ও প্রজ্ঞার অনুশীলন করেন। 

৭. বোধিসত্ত্বগণ যে কোনো অবস্থায় মৈত্রী, করুণা, মুদিতা ও উপেক্ষার সর্বোত্তম অনুশীলন চালিয়ে যান।

 

 

বোধিসত্ত্বের গুরুত্ব: বৌদ্ধধর্মে বুদ্ধের পরপরই বোধিসত্ত্বের গুরুত্ব। বুদ্ধত্ব অর্জনের আগের স্তর হলো বোধিসত্ত্ব। বোধিসত্ত্ব অবস্থায় দশ পারমী পূর্ণ করলে বুদ্ধত্ব লাভ সম্ভব। এ পারমীসমূহ পূরণ করার জন্য বহু জীব বা সত্ত্ব হিসেবে বহুবার জন্মগ্রহণ করে কুশল কর্ম সম্পাদন করতে হয়। তাই বোধিসত্ত্বের গুরুত্ব অনেক। বৌদ্ধধর্মের অপর ধারা মহাযানী মতে, বুদ্ধত্ব লাভ করে কেবল নিজে নির্বাণ সাক্ষাতের পরিবর্তে জগতের সকল সত্তার মুক্তি তাঁদের পরম ব্রত। এ লক্ষ্যে তাঁরা বোধিসত্ত্বকে কয়েকটি গুণের অধিকারী কল্পনা করে কয়েক প্রকার বোধিসত্ত্বের সাধনা করেন। তাঁরা প্রত্যেকে দান, ধ্যান, শীল, বীর্য, ক্ষান্তি, প্রজ্ঞা প্রভৃতি সদাণের চর্চা বা পারমিতা অনুশীলন করে বোধিসত্ত্ব হবেন এবং জরা মৃত্যু ও দুঃখ থেকে সমস্ত জীবকে মুক্ত করবেন। এসব কারণে বৌদ্ধধর্মে বোধিসত্ত্বের গুরুত্ব বুদ্ধের চেয়ে কম নয়।

Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion